#_ভালোবাসার_গল্প_বিয়ের_পর_প্রথমবার_যখন_মারিয়াকে_নিয়ে_শপিং,
▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫
বিয়ের পর প্রথমবার যখন মারিয়াকে নিয়ে শপিং করতে গেলাম, ও তখন বলে উঠলো- “এই যে শোনেন, আমার শাড়ি আর অন্যান্য ড্রেস গুলো আপনি পছন্দ করে দিবেন, আর আপনার ড্রেস গুলো সব আমি পছন্দ করে দিবো, ঠিক আছে”??
.
আমি মৃদু হেসে সম্মতি দিয়ে ওর জন্য সুন্দর একটাশাড়ি পছন্দ করে কিনে দিলাম। আর ও আমার জন্যপছন্দ করলো, আগের যুগের কিছু ঢিলে-ঢালা শার্ট,।টেইলার্সে নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসলো আমারপ্যান্টের মাপ।.আমি যখন মুখ কালো করে তাকে জিজ্ঞেসকরেছিলাম, “এটা কি হলো?? আমি তোমার জন্য কত সুন্দর একটা শাড়ি পছন্দ করে দিলাম, আর তুমি আমার জন্য এসব কি পছন্দ করলা”??
মারিয়া তখন হালকা চোখ রাঙিয়ে আমাকে বললো, “বেশী কথা বলবেন না !! আপনি সুন্দর সুন্দর ড্রেস পরবেন, আর রাস্তা ঘাটের সব মেয়েরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে, তাইনা?? উহু আমি এসব মেনে নিতে পারবো না”
.
ব্যাপারটাতে আমি প্রথমে বিরক্ত হলেও দিনে দিনে বুঝতে পেরেছিলাম, মেয়েটা আমাকে কত বেশী ভালবাসে !! কিভাবে আমি সুখে থাকবো, কি করলে আমি প্রাণ খুলে হাসবো, সব সময় খুশি থাকবো, সেই চিন্তাতেই মেয়েটি ব্যাস্ত থাকতো সব সময়। সেখুব পাগলামী করতো, আমাকে আগলে রাখার চেষ্টা করতো সব সময়। অনেক সময় তার কিছু পাগলামীর অর্থ আমি বুঝতাম না। রেগে যেতাম। হুটহাট ধমক টমক দিয়ে ফেলতাম।...
.
বিয়ের প্রায় সাত মাস পর মারিয়া ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেল। অনেক চেষ্টা করেও তাকে ধরে রাখতে পারিনি। বিন্দু বিন্দু করে গড়ে উঠা তার প্রতি আমার এক সমুদ্র ভালবাসাটা প্রকাশ করতে পারিনি। আমার পৃথিবীটা নিমেষেই একদম ছোট হয়ে গেল।
.
আজ প্রায় দুই বছর হলো মারিয়া মারা গেছে। মারা যাবার কিছুদুন আগে সে বলে গিয়েছিলো,“আমি তো কিছুদিন পর মরেই যাবো। তুমি আমার একটা কথা রাখবা? আমার ছোট বোন টা আছেনা? রিমি। জানো, ও প্রায়ই আমাকে বলতো, 'বুবুআমি বউ সাজবো কবে'? ওকে অনেক জায়গাথেকেই দেখতে আসতো, কিন্তু একটু খাটো আরকালো বলে ছেলেপক্ষ ওকে পছন্দ করতো না। বোনটা আমার এখনো দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে। ওর হয়তো খুব সহজে বউ সাজা হবে না। ভালো কোনো বিয়ের প্রস্তাব আসবে না। তুমিকি পারবে ওকে বিয়ে করে পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিতে? পারবে বলো”??
.
হ্যাঁ আমি তার শেষ কথাটা রাখতে পেরেছি। যে পরম মমতায় সে কথা গুলো বলেছিলো, সে কথা গুলো উপেক্ষা করার ক্ষমতা বিধাতা আমাকে দেন নি। মাঝে মাঝে গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে, আমি আনমনা হয়ে নিজে নিজেই মারিয়ার সাথে কথা বলি। অজান্তেই চোখের পাতা গুলো ভিজে আসে আমার। রিমি এগুলোর কিছুই টের পায় না। আমি মেয়েটার ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়ে থেকে মারিয়াকে খুঁজতে থাকি।..
.
(সত্যি অনেক ভালো লাগে তখন, যখন দেখি আমার ভালোবাসার মানুষটি আমাকে care করতে করতে এতোটাই পাগলামী করে...যে তখন মনে হয় পৃথিবীর সবচাইতে সুখি আমি........
▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫▪▫
বিয়ের পর প্রথমবার যখন মারিয়াকে নিয়ে শপিং করতে গেলাম, ও তখন বলে উঠলো- “এই যে শোনেন, আমার শাড়ি আর অন্যান্য ড্রেস গুলো আপনি পছন্দ করে দিবেন, আর আপনার ড্রেস গুলো সব আমি পছন্দ করে দিবো, ঠিক আছে”??
.
আমি মৃদু হেসে সম্মতি দিয়ে ওর জন্য সুন্দর একটাশাড়ি পছন্দ করে কিনে দিলাম। আর ও আমার জন্যপছন্দ করলো, আগের যুগের কিছু ঢিলে-ঢালা শার্ট,।টেইলার্সে নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসলো আমারপ্যান্টের মাপ।.আমি যখন মুখ কালো করে তাকে জিজ্ঞেসকরেছিলাম, “এটা কি হলো?? আমি তোমার জন্য কত সুন্দর একটা শাড়ি পছন্দ করে দিলাম, আর তুমি আমার জন্য এসব কি পছন্দ করলা”??
মারিয়া তখন হালকা চোখ রাঙিয়ে আমাকে বললো, “বেশী কথা বলবেন না !! আপনি সুন্দর সুন্দর ড্রেস পরবেন, আর রাস্তা ঘাটের সব মেয়েরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে, তাইনা?? উহু আমি এসব মেনে নিতে পারবো না”
.
ব্যাপারটাতে আমি প্রথমে বিরক্ত হলেও দিনে দিনে বুঝতে পেরেছিলাম, মেয়েটা আমাকে কত বেশী ভালবাসে !! কিভাবে আমি সুখে থাকবো, কি করলে আমি প্রাণ খুলে হাসবো, সব সময় খুশি থাকবো, সেই চিন্তাতেই মেয়েটি ব্যাস্ত থাকতো সব সময়। সেখুব পাগলামী করতো, আমাকে আগলে রাখার চেষ্টা করতো সব সময়। অনেক সময় তার কিছু পাগলামীর অর্থ আমি বুঝতাম না। রেগে যেতাম। হুটহাট ধমক টমক দিয়ে ফেলতাম।...
.
বিয়ের প্রায় সাত মাস পর মারিয়া ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেল। অনেক চেষ্টা করেও তাকে ধরে রাখতে পারিনি। বিন্দু বিন্দু করে গড়ে উঠা তার প্রতি আমার এক সমুদ্র ভালবাসাটা প্রকাশ করতে পারিনি। আমার পৃথিবীটা নিমেষেই একদম ছোট হয়ে গেল।
.
আজ প্রায় দুই বছর হলো মারিয়া মারা গেছে। মারা যাবার কিছুদুন আগে সে বলে গিয়েছিলো,“আমি তো কিছুদিন পর মরেই যাবো। তুমি আমার একটা কথা রাখবা? আমার ছোট বোন টা আছেনা? রিমি। জানো, ও প্রায়ই আমাকে বলতো, 'বুবুআমি বউ সাজবো কবে'? ওকে অনেক জায়গাথেকেই দেখতে আসতো, কিন্তু একটু খাটো আরকালো বলে ছেলেপক্ষ ওকে পছন্দ করতো না। বোনটা আমার এখনো দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে। ওর হয়তো খুব সহজে বউ সাজা হবে না। ভালো কোনো বিয়ের প্রস্তাব আসবে না। তুমিকি পারবে ওকে বিয়ে করে পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিতে? পারবে বলো”??
.
হ্যাঁ আমি তার শেষ কথাটা রাখতে পেরেছি। যে পরম মমতায় সে কথা গুলো বলেছিলো, সে কথা গুলো উপেক্ষা করার ক্ষমতা বিধাতা আমাকে দেন নি। মাঝে মাঝে গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে, আমি আনমনা হয়ে নিজে নিজেই মারিয়ার সাথে কথা বলি। অজান্তেই চোখের পাতা গুলো ভিজে আসে আমার। রিমি এগুলোর কিছুই টের পায় না। আমি মেয়েটার ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়ে থেকে মারিয়াকে খুঁজতে থাকি।..
.
(সত্যি অনেক ভালো লাগে তখন, যখন দেখি আমার ভালোবাসার মানুষটি আমাকে care করতে করতে এতোটাই পাগলামী করে...যে তখন মনে হয় পৃথিবীর সবচাইতে সুখি আমি........
Comments
Post a Comment