অর্ক এইমাত্র নীলার সাথে ব্রেকআপ করল। একটু ভুল বলা হল। ব্রেকআপটা নীলাই করল।অর্ককে সে এই নিয়ে প্রায় দশ বারের মতো হৃদির সাথে দেখল। হৃদির সাথে এমন কি কথা থাকতে পারে অর্কর! প্রথম এক দুই দিন মেনে নিলেও এখন আর মানা যায় না। তাই সে আজ সরাসরি অর্ককে জানিয়ে দিল, সে আর ওর সাথে নেই। ব্যস,মিটে গেল। অর্ক ও তেমন কিছু বলল না। এমন ভাব করল যেন এটাই সে চাইছিল। সত্যিই কি চেয়েছিল??
দিনগুলো তো ভালই কাটছিলো অর্কর। ভাল চাকুরী, ভালোবাসার মানুষ সবই তো ছিল। এমনকি কয়েক মাসের মধ্যে নীলার সাথে তার বিয়েটাও হয়ে যেত। ওর মতন সুখী মানুষ খুব কমই ছিলো এই পৃথিবীতে। কিন্তু তার এই সৌভাগ্যকে সৃষ্টিকর্তা ও যেন ঈর্ষা করতে লাগলেন। হঠাৎ একদিন অফিসে মাথা ঘুরে পরে গেল সে। হাসপাতালে ভর্তি হবার পর সে জানতে পারল তার ব্রেইন ক্যানসার। তার হাতে আর বেশি সময় নেই। এরপর থেকেই সে হৃদির সােথ মেলামেশা শুরু করল আর আজ তার ফলাফল পেল।
তার ক্যানসার হওয়ার খবরটা কাউকেই জানায়নি সে। এমনকি নীলাকেও না। হঠাৎ তার মনে হতে শুরু করে নীলার জীবনে সে এখন একটা দুষ্ট গ্রহ ছাড়া আর কিছুই নয়। নীলাকে সে আর ভালবাসবে না। কিনতু নীলা তো তাকে ভালবাসবে তা তো হতে পারে না। নীলার তাকে ঘৃণা করতে হবে। অসমভব ঘৃণা। এতটা ঘৃণা যে তার মৃত্যুতেও নীলা যেন কোন কষট না পায়।
প্রায় ত্রিশ মিনিট আগে নীলার সাথে অর্কর ব্রেকআপ হলো। অর্ক এখন একটা পার্কে বসে বাদাম গিলসে। উপরে নীল আকাশ। এই প্রথম তার কান্না পাচছে। কিনতু সে তো কাঁদতে পারে না। কিছুতেই না।
হঠাৎ তার মোবাইলে রিং বেজে উঠল। মোবাইলের পর্দায় নীলার নাম ভেসে উঠল। অর্ক মোবাইল বন্ধ করে দিলো। সে আকাশের দিকে তাকাল। এখন কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না।।।
Comments
Post a Comment