......ভালোবাসার গল্প.....
.
.
প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু ঘটনা
ঘটে যা সারা জীবনের জন্য সকলকেই
বার বার মনে করে দিয়ে কাঁদিয়ে
তুলে।তেমনিভাবে আমার জীবনে
এইরকম ঘটনা ঘটেছে তা আমাকে
সারা
জীবন কাঁদিয়ে যাবে।হ্যাঁ আমি
সিফাত শেখ ঘটনাটি শুরু আজথেকে
তিন বছর আগে ঠিক যেন একটি রাতে।
রমজান মাস তারিখের কথা মনে নেই।
তবে ঐ রাতের কথা আজও মনে হলে
হারিয়ে যায় কল্পনাতে।আমার
ব্যবহার
করার মতো কোনো ফোন ছিলো না।
তাই একজনের কাছে থেকে ফোন ধার
করি। রাত ১২ টা আমার সিম তুলে ফোন
খুলেই দেখি এসএমএস। এসএমএস এর লেখা
গুলো এমনই ছিলো আমাকে ডিস্টাব
করেন কেন।আমি তো কে রে বাবা
ফোন ব্যবহার করিনা আর বলে কি!! তাই
কৌতুহলেই ঐ ন্বামারে ফোন করি।
হ্যালো বলতেই ভেসে আছে একটা
মেয়ের গলা।তখন আমি থমকে যায়।
তারপর পরিচয় দেওয়া নেওয়া করতে
করতে আমরা ভালো বন্ধু হয়ে যাই।ও
মনে নেই মেয়ে নাম ছিলো স্মরণী।
ফোনে কথা বলতে বলতেইএকদিন
মেয়েটি আমার সাথে দেখা করার
সিধান্ত নেয়।১৭ই ডিসেম্বর আমরা
দেখা করি।প্রথম দেখা করি ওই দিনেই
একটা বিষয় নিয়ে আমাকে promise
করতে বলে তাই হাত বাড়িয়ে দেয়
আমি। প্রথম কোনো মেয়ের হাত ধরলে
যা হয় আর কি।তারপর ওইদিন রাতে
আমি আমারঅনুভূতির কথা জানাই
স্মরনীকে।কিন্তু সে সাড়া না দিয়ে
বলে পরে ভেবে দেখবো।ঠিক ২২ শে
ডিসেম্বর ও আমাকে ফোন করতে বলে
৮টার দিকে। আমিও ঠিক ৮টায় আমি
ফোন দেই, তখন সে আমাকে বলে I LOVE
YOU TOO..কথা শুনেই আমি কি করবো
বুঝতে পারতেছিলাম না।তারপর
আমাদের অন্যরকম চলাফেরা শুরু হয়ে
ছিলো।আমরা নিজেদেরকে
নিজেরা বুঝতাম,কেউ কাউকে না
দেখে থাকতে পারতাম না।আমরা
একে অপরের জন্য বুঝি তৈরী
হয়েছিলাম।কিন্তু আমাদের মাঝে
ঝগড়া লেগেই থাকতো। এভাবেই
কেটে যায় ২ বছর। আবার সেই রমজান
মাস চলে আছে।আর আমার বউপাখি এর
জ্বর শুরু হয়।এভাবেই জ্বরের পর টাইফয়েড
হয়। কিন্তু সে আমার সাথে
যোগাযোগ
করত। ২০১৪ জানুয়ারি মাস থেকে
আসতে আসতে সে আমার সাথে
যোগাযোগ কমি দেয়।কিন্তু আমি
বুঝতাম সে অসুস্থ হয়তো সেজন্যই আমার
সাথে যোগাযোগ করে না। হঠাৎ
করেই
শুনতে পাই যে স্মরনী ক্লিনিকে ভতি।
আমি তাকে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল
মাস পযন্ত দেখতে পারিনি।তাই এক
নজর দেখা করার জন্য হাসপাতালে
যায়। সে আমাকে দেখেই তুমি কেন
আসছো, তোমাকে আমি আসতে
বলছি।?? আর তার সুন্দর চুল গুলো যা
কোমর
পযন্ত আসতো, সেই চুল এখন ঘাড় পযন্ত
নাই। পরে ওর বাবার কাছে জানতে
পারি যে ওর Bloodcancer হয়েছে।তাই
তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে যাবে। মে মাস
থেকে তার ফোন বন্ধ পাই। পরে ওর
বান্ধবী কাছে শুনি যে ওই
ইন্ডিয়াতে
চলে গেয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাই
আমি প্রাথনা করতে থাকি মহান
আল্লাহ্ নিকট তাকে সুস্থ করে দাও।
কিন্তু আমার ভাগ্য হয়তো খারাপ। ঠিক
১৫ই জুন বিকেল ৫টা আনুমানিক স্মরণী
বান্ধবীরফোন।ফোনের কথা গুলো
এইরকম
ছিলো " হ্যালো সিফাত, তোমার
স্মরণী মারা গেয়েছে
ইন্ডিয়াতে।"ওই
আজও আমিবিশ্বাস করে উঠতে পারি
যে আমার জান আজ নেই। আজও আমি
কল্পনায় আছি। তার ভালোবাসা
নিয়েই বেচেঁ আছি।কিন্তু সব কিছু
আগের মতো। শুধু আজ আমার স্মরণী
আমার
কাছ থেকে অনেক দূরে।যাই হোক ""শুধু
একটা কথা বলবো আজ ভালোবাসার
মানুষ কাছে আছে বলেই অনেকই
অবহিলিত করবেন না।কারন যখন আপনার
ভালোবাসার মানুষ থাকবে না
তখনবুঝবেন ওই আমার কাছে কত
মূল্যবান।""অবশেষে আমার স্মরণীরর জন্য
প্লেজ্ দোয়া করবেন এবং আমার জন্য
করবেন যাতে আমি ওর ভালোবাসা
নিয়ে বাকি জীবন বেঁচে থাকতে
পারি।ধন্যবাদ।
.
.
প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু ঘটনা
ঘটে যা সারা জীবনের জন্য সকলকেই
বার বার মনে করে দিয়ে কাঁদিয়ে
তুলে।তেমনিভাবে আমার জীবনে
এইরকম ঘটনা ঘটেছে তা আমাকে
সারা
জীবন কাঁদিয়ে যাবে।হ্যাঁ আমি
সিফাত শেখ ঘটনাটি শুরু আজথেকে
তিন বছর আগে ঠিক যেন একটি রাতে।
রমজান মাস তারিখের কথা মনে নেই।
তবে ঐ রাতের কথা আজও মনে হলে
হারিয়ে যায় কল্পনাতে।আমার
ব্যবহার
করার মতো কোনো ফোন ছিলো না।
তাই একজনের কাছে থেকে ফোন ধার
করি। রাত ১২ টা আমার সিম তুলে ফোন
খুলেই দেখি এসএমএস। এসএমএস এর লেখা
গুলো এমনই ছিলো আমাকে ডিস্টাব
করেন কেন।আমি তো কে রে বাবা
ফোন ব্যবহার করিনা আর বলে কি!! তাই
কৌতুহলেই ঐ ন্বামারে ফোন করি।
হ্যালো বলতেই ভেসে আছে একটা
মেয়ের গলা।তখন আমি থমকে যায়।
তারপর পরিচয় দেওয়া নেওয়া করতে
করতে আমরা ভালো বন্ধু হয়ে যাই।ও
মনে নেই মেয়ে নাম ছিলো স্মরণী।
ফোনে কথা বলতে বলতেইএকদিন
মেয়েটি আমার সাথে দেখা করার
সিধান্ত নেয়।১৭ই ডিসেম্বর আমরা
দেখা করি।প্রথম দেখা করি ওই দিনেই
একটা বিষয় নিয়ে আমাকে promise
করতে বলে তাই হাত বাড়িয়ে দেয়
আমি। প্রথম কোনো মেয়ের হাত ধরলে
যা হয় আর কি।তারপর ওইদিন রাতে
আমি আমারঅনুভূতির কথা জানাই
স্মরনীকে।কিন্তু সে সাড়া না দিয়ে
বলে পরে ভেবে দেখবো।ঠিক ২২ শে
ডিসেম্বর ও আমাকে ফোন করতে বলে
৮টার দিকে। আমিও ঠিক ৮টায় আমি
ফোন দেই, তখন সে আমাকে বলে I LOVE
YOU TOO..কথা শুনেই আমি কি করবো
বুঝতে পারতেছিলাম না।তারপর
আমাদের অন্যরকম চলাফেরা শুরু হয়ে
ছিলো।আমরা নিজেদেরকে
নিজেরা বুঝতাম,কেউ কাউকে না
দেখে থাকতে পারতাম না।আমরা
একে অপরের জন্য বুঝি তৈরী
হয়েছিলাম।কিন্তু আমাদের মাঝে
ঝগড়া লেগেই থাকতো। এভাবেই
কেটে যায় ২ বছর। আবার সেই রমজান
মাস চলে আছে।আর আমার বউপাখি এর
জ্বর শুরু হয়।এভাবেই জ্বরের পর টাইফয়েড
হয়। কিন্তু সে আমার সাথে
যোগাযোগ
করত। ২০১৪ জানুয়ারি মাস থেকে
আসতে আসতে সে আমার সাথে
যোগাযোগ কমি দেয়।কিন্তু আমি
বুঝতাম সে অসুস্থ হয়তো সেজন্যই আমার
সাথে যোগাযোগ করে না। হঠাৎ
করেই
শুনতে পাই যে স্মরনী ক্লিনিকে ভতি।
আমি তাকে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল
মাস পযন্ত দেখতে পারিনি।তাই এক
নজর দেখা করার জন্য হাসপাতালে
যায়। সে আমাকে দেখেই তুমি কেন
আসছো, তোমাকে আমি আসতে
বলছি।?? আর তার সুন্দর চুল গুলো যা
কোমর
পযন্ত আসতো, সেই চুল এখন ঘাড় পযন্ত
নাই। পরে ওর বাবার কাছে জানতে
পারি যে ওর Bloodcancer হয়েছে।তাই
তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে যাবে। মে মাস
থেকে তার ফোন বন্ধ পাই। পরে ওর
বান্ধবী কাছে শুনি যে ওই
ইন্ডিয়াতে
চলে গেয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাই
আমি প্রাথনা করতে থাকি মহান
আল্লাহ্ নিকট তাকে সুস্থ করে দাও।
কিন্তু আমার ভাগ্য হয়তো খারাপ। ঠিক
১৫ই জুন বিকেল ৫টা আনুমানিক স্মরণী
বান্ধবীরফোন।ফোনের কথা গুলো
এইরকম
ছিলো " হ্যালো সিফাত, তোমার
স্মরণী মারা গেয়েছে
ইন্ডিয়াতে।"ওই
আজও আমিবিশ্বাস করে উঠতে পারি
যে আমার জান আজ নেই। আজও আমি
কল্পনায় আছি। তার ভালোবাসা
নিয়েই বেচেঁ আছি।কিন্তু সব কিছু
আগের মতো। শুধু আজ আমার স্মরণী
আমার
কাছ থেকে অনেক দূরে।যাই হোক ""শুধু
একটা কথা বলবো আজ ভালোবাসার
মানুষ কাছে আছে বলেই অনেকই
অবহিলিত করবেন না।কারন যখন আপনার
ভালোবাসার মানুষ থাকবে না
তখনবুঝবেন ওই আমার কাছে কত
মূল্যবান।""অবশেষে আমার স্মরণীরর জন্য
প্লেজ্ দোয়া করবেন এবং আমার জন্য
করবেন যাতে আমি ওর ভালোবাসা
নিয়ে বাকি জীবন বেঁচে থাকতে
পারি।ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment