💗💗শিরোনামহীন ভালোবাসা💗💗
⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛
🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯
.
ফেইছবুকে ঢুকতেই ফারহানকে মেসেজ দিলো সাবিহা,
--কিরে কাল ফেইছবুকে আসিস নি কেনো? (সাবিহা)
--এমনি। (ফারহান)
--এমনি মানে? ফোনওতো রিসিভ করস নাই।কি হইছে তর বল?
--আরে কিচ্ছু হয়নি। বাদ দেতো। কি করস?
--কিছুনা। তুই?
--বসে আছি।
_
★ফারহান ও সাবিহা দুজন খুব ভালো বন্ধু। ফেইফবুকে ওদের বন্ধুত্ব হলেও এখন দুজন বাস্তব জীবনেরও ববন্ধুটা। একদিন কথা না বলে থাকতে পারেনা। সাবিহা ফারহানকে বন্ধুর চেয়েও আরো বেশি কিছু ভাবে। কিন্তু ফারহানকে সেটা বলা হয়ে ওঠেনা।
_
★ফারহানের অল্প-স্বল্প দুষ্টুমি,মাঝে মাঝে চুপ হয়ে থাকা,হঠাৎ চিল্লাই ওঠে ভয় দেখানো এসব যেনো ফারহানের এক অদ্ভুদ প্রতিভা। এগুলো সাবিহাকে ফারহানের প্রতি আরো দূর্বল করে তুলে। কিন্তু সাবিহা তার ভালোবাসার কথা বলতে পারেনা বন্ধুত্ব হারানোর ভয়ে।
_
★প্রায় ৪ বছর যাবৎ ওদের বন্ধুত্বের রিলেশন। সাবিহার আর সহ্য হচ্ছেনা।চিন্তা করলো ফারহানকে বলেই দিবে তার ভালোবাসার কথা।
অতঃপর ফারহানকে ফোন দিলো সাবিহা,
,
--হ্যালো। (ফারহান)
--কই তুই? (সাবিহা)
--আমিতো বাসায়। কেন?
--দশ মিনিটের মধ্যে পার্কে আয়।
--ওকে,আসতেছি।
_
★পার্কে আগে থেকেই দাড়িয়ে ছিলো সাবিহা। খুব উত্তেজিত লাগছে সাবিহাকে। কিছুক্ষণ পর ফারহান চলে এসেছে। ফারহানের আসা দেখে আরো উত্তেজিত সাবিহা। নিজেকে সামলে নিল সাবিহা।
_
--কিরে হঠাৎ এখানে ডাকলি যে? (ফারহান)
--তর সাথে আমার কথা আছে।
--তো কথা থাকলে সেটাতো ফোনেই বলতে পারতি?
--সব কথা ফোনে বলা যায়না।
--আচ্ছা বল তর কি গুরুত্বপূর্ণ কথা।
_
দুজনেই পার্কের একটি বেঞে বসা।
,
--দেখ ফারহান, আমি তকে অনেক আগে থেকেই খুব ভালোবাসি। কিন্তু বলতে পারিনি বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে। আজ আমি আর পারছিনা। আমি তকে অনেক ভালোবাসিরে ফারহান। তকে ছাড়া আমার জীবন একটুও চলবে না। তুই ছাড়া আমি অচল। খুব ভালোবাসি তকে। (সাবিহা)
,
--সরি সাবিহা। এটা সম্ভব না। আমি তকে নিয়ে কখনো এরকমটা ভাবিনি। তুই আমার ব্রেষ্টফ্রেন্ড আছিস,আমি চাই সারাজীবন ফ্রেন্ড হয়েই থাক।
_
★ফারহানের মুখে এই কথা শুনে সাবিহার মাথায় যেনো ভাজ ভেঙে পরলো। সাবিহা ভেবেছিলো ফারহানও তাকে ভালোবাসে। কিন্তু এ কি বললো ফারহান?,,, সাবিহা একদম বোবার মতো হয়ে গেলো। দৌড়ে চলে গেলো এখান থেকে। বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ করে অনেক্ষন কাদলো সাবিহা।
_
★তারপর ৩ দিন কেটে গেলো,ফারহানের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই সাবিহার। সাবিহার খানা-দানা টুটেলী বন্ধ। শুকিয়ে গেছে মায়াভরা চেহারাটা।
কিছুক্ষণ পর একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো সাবিহার মোবাইলে,
--হ্যালো সাবিহা,আমি ফারহানের বন্ধু। ফারহানও তোমাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু ফারহান জানতো যে তার ব্লাড ক্যান্সার। তাই তার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে জড়াতে চায়নি তোমাকে। এখন ফারহান হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে এক জীবন্ত লাশ হয়ে। ওর বাচা-মরা একমাত্র আল্লাহর উপর। ডাক্তােররা ব্যর্থতা প্রকাশ করে ফেলছে। যদি মন চায় ওকে দেখে যেও।
,
কথাগুলো বলেই ফোনটা কেটে দিল ফারহানের বন্ধু।
,
★সাবিহা কি করবে বুঝতে পারছেনা। দৌড়ে ছুটে গেল ফারহানের কাছে। গিয়ে দেখে ফারহানের নিষ্পাপ দেহটাতে পরে আছে হসপিটালের বেডে। সাবিহার চোখে অঝর পানি। কাদতেও পারছেনা সে। মনে হচ্ছে ৩ দিনের কান্নায় চোখের পানিগুলো শুকিয়ে গেছে।
,
★দেখতে দেখতে ৪-৫ দিন চলে গেছে। এখনো ফারহানের ঘুম ভাঙেনি। এখনো জীবন্ত লাশটি পরে আছে হাসপাতালের বেডে। ঐদিকে নামাজ পরে,রোজা রেখে দিনরাত আল্লাহর কাছে ফারহানের জীবন ভিক্ষা চাচ্ছে সাবিহা।
,
প্রায় ৭-৮ দিন চলে গেলো। অবশেষে আল্লাহ ফিরে তাকালো এই নিষ্পাপ ভালোবাসার দিকে।
,
★সাবিহা ফারহানের পাশে বসে বসে কাদছে, হঠাৎ আবিরের একটি হাত নড়ে ওঠল। সাবিহা দেখেতো বিশ্বাস করতে পারছেনা। সে তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে ডেকে আনলো। ডাক্তার এসে কিছুক্ষণ চেকআপ করার পর অবশেষে ফারহানের সেই লম্বা ঘুম ভাঙ্গলো, ডাক্তার বলল,
>অভিনন্দন,তিনি এখন সম্পুর্ন বিপদমুক্ত। ২-১ দিনের মধ্যেই সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে যাবে।
_
★তারপর সাবিহার ফিলিংসটা আর বলে বুঝাতে পারবোনা।
,
,
২ দিন পর,
ফারহান ও সাবিহা সেই পার্কের বেঞ্চটিতে বসা। ফারহান এখন সম্পুর্ন সুস্থ। সাবিহা ফারহানের কাধে মাথা রেখে বসে আছে।
_
_
_
আজ ১০ ই সেপ্টেম্বর। ফারহান ও সাবিহার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে।
_
এখন রাত ১১ টা,
সাবিহা ফারহানের ঘরে বধু সেজে বসে আছে। বাদরটা এখনো আসছেনা। একটু পর ফারহান আসলো।
_
★★ আর কমু না। হি হি হি ★★
⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛⚛
🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯🔯
.
ফেইছবুকে ঢুকতেই ফারহানকে মেসেজ দিলো সাবিহা,
--কিরে কাল ফেইছবুকে আসিস নি কেনো? (সাবিহা)
--এমনি। (ফারহান)
--এমনি মানে? ফোনওতো রিসিভ করস নাই।কি হইছে তর বল?
--আরে কিচ্ছু হয়নি। বাদ দেতো। কি করস?
--কিছুনা। তুই?
--বসে আছি।
_
★ফারহান ও সাবিহা দুজন খুব ভালো বন্ধু। ফেইফবুকে ওদের বন্ধুত্ব হলেও এখন দুজন বাস্তব জীবনেরও ববন্ধুটা। একদিন কথা না বলে থাকতে পারেনা। সাবিহা ফারহানকে বন্ধুর চেয়েও আরো বেশি কিছু ভাবে। কিন্তু ফারহানকে সেটা বলা হয়ে ওঠেনা।
_
★ফারহানের অল্প-স্বল্প দুষ্টুমি,মাঝে মাঝে চুপ হয়ে থাকা,হঠাৎ চিল্লাই ওঠে ভয় দেখানো এসব যেনো ফারহানের এক অদ্ভুদ প্রতিভা। এগুলো সাবিহাকে ফারহানের প্রতি আরো দূর্বল করে তুলে। কিন্তু সাবিহা তার ভালোবাসার কথা বলতে পারেনা বন্ধুত্ব হারানোর ভয়ে।
_
★প্রায় ৪ বছর যাবৎ ওদের বন্ধুত্বের রিলেশন। সাবিহার আর সহ্য হচ্ছেনা।চিন্তা করলো ফারহানকে বলেই দিবে তার ভালোবাসার কথা।
অতঃপর ফারহানকে ফোন দিলো সাবিহা,
,
--হ্যালো। (ফারহান)
--কই তুই? (সাবিহা)
--আমিতো বাসায়। কেন?
--দশ মিনিটের মধ্যে পার্কে আয়।
--ওকে,আসতেছি।
_
★পার্কে আগে থেকেই দাড়িয়ে ছিলো সাবিহা। খুব উত্তেজিত লাগছে সাবিহাকে। কিছুক্ষণ পর ফারহান চলে এসেছে। ফারহানের আসা দেখে আরো উত্তেজিত সাবিহা। নিজেকে সামলে নিল সাবিহা।
_
--কিরে হঠাৎ এখানে ডাকলি যে? (ফারহান)
--তর সাথে আমার কথা আছে।
--তো কথা থাকলে সেটাতো ফোনেই বলতে পারতি?
--সব কথা ফোনে বলা যায়না।
--আচ্ছা বল তর কি গুরুত্বপূর্ণ কথা।
_
দুজনেই পার্কের একটি বেঞে বসা।
,
--দেখ ফারহান, আমি তকে অনেক আগে থেকেই খুব ভালোবাসি। কিন্তু বলতে পারিনি বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে। আজ আমি আর পারছিনা। আমি তকে অনেক ভালোবাসিরে ফারহান। তকে ছাড়া আমার জীবন একটুও চলবে না। তুই ছাড়া আমি অচল। খুব ভালোবাসি তকে। (সাবিহা)
,
--সরি সাবিহা। এটা সম্ভব না। আমি তকে নিয়ে কখনো এরকমটা ভাবিনি। তুই আমার ব্রেষ্টফ্রেন্ড আছিস,আমি চাই সারাজীবন ফ্রেন্ড হয়েই থাক।
_
★ফারহানের মুখে এই কথা শুনে সাবিহার মাথায় যেনো ভাজ ভেঙে পরলো। সাবিহা ভেবেছিলো ফারহানও তাকে ভালোবাসে। কিন্তু এ কি বললো ফারহান?,,, সাবিহা একদম বোবার মতো হয়ে গেলো। দৌড়ে চলে গেলো এখান থেকে। বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ করে অনেক্ষন কাদলো সাবিহা।
_
★তারপর ৩ দিন কেটে গেলো,ফারহানের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই সাবিহার। সাবিহার খানা-দানা টুটেলী বন্ধ। শুকিয়ে গেছে মায়াভরা চেহারাটা।
কিছুক্ষণ পর একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো সাবিহার মোবাইলে,
--হ্যালো সাবিহা,আমি ফারহানের বন্ধু। ফারহানও তোমাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু ফারহান জানতো যে তার ব্লাড ক্যান্সার। তাই তার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে জড়াতে চায়নি তোমাকে। এখন ফারহান হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে এক জীবন্ত লাশ হয়ে। ওর বাচা-মরা একমাত্র আল্লাহর উপর। ডাক্তােররা ব্যর্থতা প্রকাশ করে ফেলছে। যদি মন চায় ওকে দেখে যেও।
,
কথাগুলো বলেই ফোনটা কেটে দিল ফারহানের বন্ধু।
,
★সাবিহা কি করবে বুঝতে পারছেনা। দৌড়ে ছুটে গেল ফারহানের কাছে। গিয়ে দেখে ফারহানের নিষ্পাপ দেহটাতে পরে আছে হসপিটালের বেডে। সাবিহার চোখে অঝর পানি। কাদতেও পারছেনা সে। মনে হচ্ছে ৩ দিনের কান্নায় চোখের পানিগুলো শুকিয়ে গেছে।
,
★দেখতে দেখতে ৪-৫ দিন চলে গেছে। এখনো ফারহানের ঘুম ভাঙেনি। এখনো জীবন্ত লাশটি পরে আছে হাসপাতালের বেডে। ঐদিকে নামাজ পরে,রোজা রেখে দিনরাত আল্লাহর কাছে ফারহানের জীবন ভিক্ষা চাচ্ছে সাবিহা।
,
প্রায় ৭-৮ দিন চলে গেলো। অবশেষে আল্লাহ ফিরে তাকালো এই নিষ্পাপ ভালোবাসার দিকে।
,
★সাবিহা ফারহানের পাশে বসে বসে কাদছে, হঠাৎ আবিরের একটি হাত নড়ে ওঠল। সাবিহা দেখেতো বিশ্বাস করতে পারছেনা। সে তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে ডেকে আনলো। ডাক্তার এসে কিছুক্ষণ চেকআপ করার পর অবশেষে ফারহানের সেই লম্বা ঘুম ভাঙ্গলো, ডাক্তার বলল,
>অভিনন্দন,তিনি এখন সম্পুর্ন বিপদমুক্ত। ২-১ দিনের মধ্যেই সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে যাবে।
_
★তারপর সাবিহার ফিলিংসটা আর বলে বুঝাতে পারবোনা।
,
,
২ দিন পর,
ফারহান ও সাবিহা সেই পার্কের বেঞ্চটিতে বসা। ফারহান এখন সম্পুর্ন সুস্থ। সাবিহা ফারহানের কাধে মাথা রেখে বসে আছে।
_
_
_
আজ ১০ ই সেপ্টেম্বর। ফারহান ও সাবিহার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে।
_
এখন রাত ১১ টা,
সাবিহা ফারহানের ঘরে বধু সেজে বসে আছে। বাদরটা এখনো আসছেনা। একটু পর ফারহান আসলো।
_
★★ আর কমু না। হি হি হি ★★
Comments
Post a Comment