রোদ ও বৃষ্টি 
.
.
-- হ্যালো আস্লামুয়ালাইকুম। --
অয়ালাইকুমুস্লাম।
আপনি
কে ? এটা তো আমার মেয়ের ফোন।
-- জী আঙ্কেল আপনি আমাকে
চিনবেন না। -- কে
আপনি
কি চান আমার কাছে আর নিশির
মোবাইল আপনার
কাছে কেন?
-- আঙ্কেল উত্তেজিত হবেন না একটু
শান্ত হয়ে বসুন
আমি
সব বলছি।
-- কি হয়েছে বাবা তারা তারি বল?
-- আঙ্কেল
তেমন
কিছু না। আপনার মেয়ে নিশি হালকা
ভাবে
এক্সিডেন্ট
করেছে। ভায়ের কিছু নাই
হাসপাতালে ভর্তি
আছে। ওর
ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে
আপনার আব্বু
লেখা
নাম্বার দেখে কল দিলাম। .
-- বাবা কি বল!! কখন কি ভাবে কোন
হাসপাতালে
আছে? -- আঙ্কেল সব ঠিক আছে চিন্তা
করবেন না
আমি
হাসপাতালের ঠিকানা এসএমএস করে
দিচ্ছি
আপনে
চলে আসেন।
-- বাবা আমি না আশা পর্যন্ত তুমি
যেও না থেকে
যাও।
আর ওকে দেও একটু ।
-- আচ্ছা আঙ্কেল আমি যাব না। আর
ডাক্তার বলছে
এখন
কথা বলা ঠিক হবে না।
.
কয়েক ঘণ্টা পরে নাহিদ সাহেব
মেয়েকে নিয়ে
বাসায়
চলে আসল। আসার আগে ছেলেটার
অনেক প্রশংসা
করল
এই রকম যুগে এই ধরণের ছেলে পাওয়া
যায় না কত
পর
উপকারী ছেলে। এর পরে একদিন
ছেলেদের
ফ্যামিলির
সবাইকে দাওয়াত দিল নিশির বাবা।
নিশি বার
বার
বিরক্ত হচ্ছে কি দরকার অপরিচিত
মানুষদের
বাসায়
এনে ঝামেলা করার বাইরে খাইয়ে
দিলেই পারত।
নিশির বাবা মেয়ের আচরণে খুব
বিরক্ত কেমন
মেয়ে এত
বড় একটা দুর্ঘটনায় এগিয়ে আসল আর
তাদের বলছে
না
আসতে। নাহ মেয়েটার বিয়ের বয়স
হয়ে গেল অথচ
দায়িত্ব জ্ঞান হল না। নাহিদ সাহেব
মনে মনে
ভাবছে
এই রকম একটা ছেলের সাথে যদি
মেয়েটার বিয়ে
হত। .
রাতে ছেলেটার ফ্যামিলি চলে
আসছে খাওয়া
দাওয়ার
পরে কিছু আলাপ চারিতা হল। ছেলে
ভাল একটা
কোম্পানিতে জব করে। নাহিদ
সাহেবের খুব ইচ্ছা
বিয়ের প্রসঙ্গ তুলতে কিন্তু সে পারছে
না কারণ
সে
মেয়ের বাবা। আবার ভরসা পাচ্ছেও
না মেয়ের
কথা
বলতে কোথাও কাউকে পছন্দ করে
রেখেছে কিনা।
নাহিদ সাহেব লাভ মেরেজের ঘোর
বিরুধি দরকার
হয়
মেয়েকে কেটে খালে ভাসিয়ে
দিবে কিন্তু লাভ
মেরেজ করতে দিবে না।
.
যাওয়ার আগে ছেলের পরিবার
নিশির বাবা কে
দাওয়াত দিয়ে গেল নিশির বাবা
মনে মনে খুশি
হল।
তারাও গেল দাওয়াতে কথা প্রসঙ্গে
বিয়ের কথা
উঠল
তারও ছেলে মেয়ে খুজছে নিশির
বাবাও বলে
ফেলল
তারাও ভাল ছেলে খুজছে দুলাভাই
সম্পর্কের
একজন
বলে ফেলল তাহলে আর কি আপনারা
আত্মীয় হয়ে
জান
বলেই জোরে হাসতে লাগল কিন্তু উভয়
পরিবার
বিষয়টা
গুরুত্বের সাথে নিল। নিশির বাবা বলল
বাসায়
গিয়ে
পরে তাদের সাথে যোগাযোগ
করবে। সবাই বিয়ের
জন্য
রাজি শুধু নিশি একটু আমতা আমতা করল।
নাহিদ
সাহেবের এক ধমকে সব ওকে হয়ে গেল।
.
আজকে নিশিকে আংটি পরাতে
এসেছে। সব কিছু
শেষে
হবু স্বামী-স্ত্রী কে আলাদা কথা
বলার একটু সুযোগ
দিয়েছে পরিবারের লোক জন। সেই
সময় নিশির
ছোট
বোন এসে বলল সবই তো বুঝলাম কিন্তু
আপুর
মোবাইল তো
সব সময় লক করা থাকে আপনে কি
ভাবে আব্বুর
নাম্বারে
কল করলেন আপুর নাম্বার থেকে?
কিছুক্ষণ
নিরবতার পরে
নিশি আর নিশি আর ফিরোজ হেসে
উঠল। ফিরোজ
বলল
আরে শ্যালিকা তোমার বোন যদি লক
খুলে দেয়
আমি
কি করব?
.
মূল ঘটনা নিশি আর ফিরোজ একে
পরকে ভালবাসে।
ফিরোজের পরিবার নিশিকে মেনে
নিলেও নিশির
পরিবার মানে নিশির বাবা কোন
দিন মানত না
লাভ
মেরেজ তাই নিশি আর নিশির মা ও
ফিরোজ মিলে
এই
প্ল্যান করে। আর ঐ হাসপাতালে
ফিরোজের এক
ফ্রেন্ড
ডাক্তার সেই সব ভুলা চিকিৎসার
ব্যাবস্থা করে
দেয়।
নিশির মা এক প্রকার জোর করে
ফিরোজের
পরিবার
কে দাওয়াত করে। নিশির বাবা
দোটানার মাঝে
থাকলেও যেই শুনছে নিশি অমত করছে
ফিরোজের
ফ্যামিলিকে আসার জন্য ওমনি সে
রাজি হয়ে যায়
কারণ তার স্বভাব হল মেয়েদের মতের
উল্টে চলা।
ব্যাস
এই ভাবেই লাভ মেরেজ এরেঞ্জ
মেরেজ হয়ে যায়।

Comments

Popular posts from this blog