#_ভালবাসার_গল্প_কান্না
একটা আনন্দের গল্প!
একটা আনন্দের গল্প!
গলির শুরুতেই হলুদ রঙচটা বাড়িটা লজ্জিত
ভঙ্গিতে দাড়িয়ে থাকে। এ মাথা দিয়ে গলিটায়
ঢুকলে সবার প্রথমে আর ও মাথা দিয়ে ঢুকলে সবার
শেষে পড়ে বাড়িটা। জাগায় জাগায় দেয়ালের
প্লাস্টার খসে পড়ায় কেমন একটু ক্ষত ভাব
তৈরী হয়েছে। ওই জায়গা গুলো দেখলে বড় মায়া হয়।
আদর করে ক্ষতয় হাত বুলিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু
টানাপোড়নের সংসারে গলা পযন্ত
উঠে আসা ভালোবাসাটা ঢোক চিপে গিলে নেয়
সে বাসার সদস্যরা। আর বাসাটাও অন্যসব বড় বড়
বাসার পাশে মাথা নিচু করে পড়ি পড়ি ভাব
নিয়ে থাকে।
বাসার দক্ষিনে যেই জানালাটা, যেটায় জেলখানার
গরাদের মত লোহা গরাদ দেয়া আর রঙচটা কাঠের
পাল্লা, সেটা দিয়ে দিনের ভেতর বেশ কয়েকবার
একটা মায়াবী মুখ দেখতে পাওয়া যায়। নাম
চন্দ্রশীলা।
চন্দ্রশীলার বাবা একটা বেসরকারী অফিসের
ক্যারানী। স্বল্প বেতনে টানাপোড়নের সংসার। তাই
সাজ সরঞ্জামে ব্যায় করতে পারেনা মেয়েটা।
সবচেয়ে সস্তা প্রসাধনী কেনা হয় খুঁজে খুঁজে। আর
যদি কখনও একটু দামী কেনা হয়ে যায়, সেটা খুব
যত্নে রাখা থাকে মেয়াদ পেরোনোর পরও। ওর
চেহারা পরীর মত না। গায়ের রঙও চোখে পড়ার মত না।
মাথায় দীঘল কালো চুল বা টানা টানা চোখ
কোনোটাই ওর ভেতর পাওয়া যায় না। উল্টা নাকটাও
জামরুল ফলের মত বোঁচা।
স্কুল কলেজে বন্ধু মহলে আড্ডা জমাতে পারেনা,কথার
প্যাঁচে ফেলে ছেলে বন্ধুদের মনও কাড়তে পারেনা।
গান গাইতে পারেনা। কোনো বিশেষত্ব নেই তার।
একেবারেই বিশেষত্বহীন হতে পারাটাই হয়তো তার
সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব। মেয়েটা ওর পরিবারের মতই
অচল,ঠেলে ঠুলে জীবন যাপন করে।
ওর সেই জানলাটাকে ভীষন ভালবাসে চন্দ্র।
জানলা দিয়েই প্রতিদিন রঙচঙে পৃথিবীটা দেখে,নীল
আকাশে সাদা ঘুড়ি দেখে, রাস্তার ধুলার গন্ধ
নিতে নিতে ধুলা দেখে,আবার ফুরফুরে জ্যোৎস্নাও
দেখে।
ও জানেনা, রোজ রোজ রোদ জ্বলা দুপুরে ঝাঝা রোদের
মাঝে যে ছেলেটা গোড়ালী ক্ষয়ে যাওয়া স্যান্ডেল
পায়ে উদাস মুখে হেটে যায়, সেই ছেলেটার কি যেন
একটা বিগড়ে গেছে। প্রতিদিন একবার হলেও এই
বিশেষত্বহীন নাক
বোঁচা মেয়েটাকে না দেখলে বিগড়ে যাওয়া কিছু
জিনিসটা মেরামত হয় না! ওর কবিতার খাতায় দিন
দিন নীলচে ভালবাসা বাড়ছে। ছোট ছোট কাজল
মাখা চোখ দুটা স্বপ্ন দখল করে ফেলছে। খুব ইচ্ছা করে,
কাজল পরা মেয়েটার বোঁচা নাকে টোকা দিতে।
সাহসে কুলায় না। নাকে টোকা দেয়ার জন্য সাহস না,
কবিতার খাতাটা পড়তে দেয়ার সাহস হয়না। রিক্সায়
চড়ার যার পয়সা নেই তার এসব পাকামো মানায় না।
একটা টিউশনি খুব দরকার ছেলেটার। রিক্সায়
চড়ে পাকামো করার জন্যে না, বুঁচি মেয়েটাকে নীল
শাড়ী দেয়ার জন্যে। শাড়ী আর
খাতাটা হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করবে, বুঁচি তুমি আমার
কৃষ্ণকলি হবে??
আজকে চন্দ্রশীলার মন খারাপ। রাস্তাটায় কি যেন
নেই,কোনো একজন নেই,বহুদিনের প্রায়
চেনা অচেনা মানুষটা নেই,
ছেঁড়া স্যান্ডেলে পায়ে হাটার আওয়াজ নেই!
কান্না পাচ্ছে।
ও তো আর জানেনা, আজকে ছেলেটা টিউশনির প্রথম
বেতন হাতে নিয়ে শাড়ি কিনতে গেছে। আজ
আসতে ইইইইট্টু দেরী হবে!!
ওদের আজ আনন্দে কাদতে হবে...কি সমস্যা!
ভঙ্গিতে দাড়িয়ে থাকে। এ মাথা দিয়ে গলিটায়
ঢুকলে সবার প্রথমে আর ও মাথা দিয়ে ঢুকলে সবার
শেষে পড়ে বাড়িটা। জাগায় জাগায় দেয়ালের
প্লাস্টার খসে পড়ায় কেমন একটু ক্ষত ভাব
তৈরী হয়েছে। ওই জায়গা গুলো দেখলে বড় মায়া হয়।
আদর করে ক্ষতয় হাত বুলিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু
টানাপোড়নের সংসারে গলা পযন্ত
উঠে আসা ভালোবাসাটা ঢোক চিপে গিলে নেয়
সে বাসার সদস্যরা। আর বাসাটাও অন্যসব বড় বড়
বাসার পাশে মাথা নিচু করে পড়ি পড়ি ভাব
নিয়ে থাকে।
বাসার দক্ষিনে যেই জানালাটা, যেটায় জেলখানার
গরাদের মত লোহা গরাদ দেয়া আর রঙচটা কাঠের
পাল্লা, সেটা দিয়ে দিনের ভেতর বেশ কয়েকবার
একটা মায়াবী মুখ দেখতে পাওয়া যায়। নাম
চন্দ্রশীলা।
চন্দ্রশীলার বাবা একটা বেসরকারী অফিসের
ক্যারানী। স্বল্প বেতনে টানাপোড়নের সংসার। তাই
সাজ সরঞ্জামে ব্যায় করতে পারেনা মেয়েটা।
সবচেয়ে সস্তা প্রসাধনী কেনা হয় খুঁজে খুঁজে। আর
যদি কখনও একটু দামী কেনা হয়ে যায়, সেটা খুব
যত্নে রাখা থাকে মেয়াদ পেরোনোর পরও। ওর
চেহারা পরীর মত না। গায়ের রঙও চোখে পড়ার মত না।
মাথায় দীঘল কালো চুল বা টানা টানা চোখ
কোনোটাই ওর ভেতর পাওয়া যায় না। উল্টা নাকটাও
জামরুল ফলের মত বোঁচা।
স্কুল কলেজে বন্ধু মহলে আড্ডা জমাতে পারেনা,কথার
প্যাঁচে ফেলে ছেলে বন্ধুদের মনও কাড়তে পারেনা।
গান গাইতে পারেনা। কোনো বিশেষত্ব নেই তার।
একেবারেই বিশেষত্বহীন হতে পারাটাই হয়তো তার
সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব। মেয়েটা ওর পরিবারের মতই
অচল,ঠেলে ঠুলে জীবন যাপন করে।
ওর সেই জানলাটাকে ভীষন ভালবাসে চন্দ্র।
জানলা দিয়েই প্রতিদিন রঙচঙে পৃথিবীটা দেখে,নীল
আকাশে সাদা ঘুড়ি দেখে, রাস্তার ধুলার গন্ধ
নিতে নিতে ধুলা দেখে,আবার ফুরফুরে জ্যোৎস্নাও
দেখে।
ও জানেনা, রোজ রোজ রোদ জ্বলা দুপুরে ঝাঝা রোদের
মাঝে যে ছেলেটা গোড়ালী ক্ষয়ে যাওয়া স্যান্ডেল
পায়ে উদাস মুখে হেটে যায়, সেই ছেলেটার কি যেন
একটা বিগড়ে গেছে। প্রতিদিন একবার হলেও এই
বিশেষত্বহীন নাক
বোঁচা মেয়েটাকে না দেখলে বিগড়ে যাওয়া কিছু
জিনিসটা মেরামত হয় না! ওর কবিতার খাতায় দিন
দিন নীলচে ভালবাসা বাড়ছে। ছোট ছোট কাজল
মাখা চোখ দুটা স্বপ্ন দখল করে ফেলছে। খুব ইচ্ছা করে,
কাজল পরা মেয়েটার বোঁচা নাকে টোকা দিতে।
সাহসে কুলায় না। নাকে টোকা দেয়ার জন্য সাহস না,
কবিতার খাতাটা পড়তে দেয়ার সাহস হয়না। রিক্সায়
চড়ার যার পয়সা নেই তার এসব পাকামো মানায় না।
একটা টিউশনি খুব দরকার ছেলেটার। রিক্সায়
চড়ে পাকামো করার জন্যে না, বুঁচি মেয়েটাকে নীল
শাড়ী দেয়ার জন্যে। শাড়ী আর
খাতাটা হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করবে, বুঁচি তুমি আমার
কৃষ্ণকলি হবে??
আজকে চন্দ্রশীলার মন খারাপ। রাস্তাটায় কি যেন
নেই,কোনো একজন নেই,বহুদিনের প্রায়
চেনা অচেনা মানুষটা নেই,
ছেঁড়া স্যান্ডেলে পায়ে হাটার আওয়াজ নেই!
কান্না পাচ্ছে।
ও তো আর জানেনা, আজকে ছেলেটা টিউশনির প্রথম
বেতন হাতে নিয়ে শাড়ি কিনতে গেছে। আজ
আসতে ইইইইট্টু দেরী হবে!!
ওদের আজ আনন্দে কাদতে হবে...কি সমস্যা!
Comments
Post a Comment