#_ভালবাসার_গল্প।
মার্কেট থেকে বেরিয়ে দেখলাম
পকেটে আর মাএ দশটা টাকা অবশিষ্ট
আছে।তা দিয়ে রিক্সা ভাড়া ও হবে
না।তাই রিক্সা না নিয়ে হেটেই
যাচ্ছি পার্কে।রাইসার সাথে দেখা
করার কথা নয়টায়।এখন বাজে সাড়ে
নয়টা।যেতে যেতে প্রায় আর ও আধা
ঘন্টার মত লাগবে।মেয়েটাকে কি
এতক্ষন বসে রাখা ঠীক হবে।আর
গোলাপ ফুল টাও নেওয়া হল না।
আজকের দিনে ও কি ভালবাসার
মানুষটিকে ভালবাসার প্রতিক উপহার
দিতে না পারব না বলে নিজেকে খুব
ছোট মনে হচ্ছে।এসব ভাবছি আর হাটছি।
এরি মাঝে ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে
মোবাইল টা বেজে উঠল।দেখলাম
রাইসার ফোন।একটু সময় নিয়ে ফোন টা
রিসিভ করলাম।
.
-হ্যালো।
-তুমি কতদূর এসেছ।
-এইত প্রায়ই এসে পড়েছি।
-আচ্ছা সাবধানে এস।
-ওকে।
.
ফোনটা আসার পর থেকে একটু জোরে
হাটছি।নয়টার সময় দেখা করার কথা
থাকলেও মেয়েটা অনেক আগে থেকে
এসে বসে আছে।
.
পার্কে এসে রাইসাকে দেখলাম
অন্যদিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে বসে
আছে।আমাকে দেখে একটা হাসি
দিল।যেন এক রাজ্যে জয়ের হাসি।
মেয়েটাকে হাসিতে অনেক সুন্দর
মানায়।আমি একদৃষ্টিতে ওর হাসির
দিকে চেয়ে আছি।আমি দেরি করে
আসাতে এতে ওর কোন আক্ষেপ নেই।
আমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে
দেখে রাইসা বলল।
.
-আর কতক্ষন দাড়িয়ে থাকবে এবার বস।
.
আমি ওর কথা শুনে একটা হাসি
দেওয়ার চেষ্টা করলাম।তারপর গিয়ে
ওর পাশে বসলাম।ও আমার মুখে আর
কপালে ঘাম দেখতে পেয়ে কিছুক্ষন
আমার দিকে তাকিয়ে থাকল।তারপর
আবার ও বলল।
.
-তুমি হেটে এসেছ তাই না।
-আরে না তুমি ত জান আজ ভীষণ গরম
পড়েছে তাই একটু ঘেমে গেলাম।
.
আমার কথা শুনা মাএ রাইসার মুখ
ফ্যাকাশে হয়ে গেল।কারণ আমি যে
মিথ্যা বলেছি রাইসা সেটা ভাল
করেই জানে।ওর ওড়না দিয়ে আমার মুখ
আর কপালের ঘাম মুছে দিতে দিতে
বলল।
.
-মিথ্যা বলতে পার না।তবুও কেন
মিথ্যা বল আমার সাথে।
.
আমি কথাটি শুনে চুপ হয়ে রয়লাম।
রাইসা কিছুটা আছ করতে পেরেছে
আমি ওর জন্য কিছু একটা এনেছি।আসার
সময় না দেখা মত করে পেছনে লুকিয়ে
এনেছিলাম যাতে ও না দেখে তবুও
কেমন করে দেখে ফেলল।আমি ভেবে
পাচ্ছিনা যে এটা কেমন করে ওর
হাতে দিব।রাইসার জন্য আজ মার্কেট
থেকে ওর পছন্দের নীল শাড়ি কিনে
এনেছি।কোনদিন মেয়েটাকে কিছুই
দিতে পারিনি।ভাবলাম আজ হয়ত কিছু
একটা দেওয়া দরকার।তাই আর দেরি না
করে প্রাইভেটের টাকা হাতে
পাওয়া মাএ তা দিয়ে শাড়িটা
কিনে আনলাম।আনা সত্বেও সাহসের
অভাবে দিতে পারছি না।কারণ এটা
দেখার পর রাইসা খুশি হওয়ার চেয়ে
রিয়েক্ট বেশি করবে।তবুও সাহস সঞ্চয়
করে এটা ওর হাতে দিয়ে বললাম।
.
-এটা তোমার জন্য।
-কি এটা।
-প্যাকেট খুলে দেখ।
.
এটা দেখে রাইসা অবাক বা খুশি
হওয়ার চেয়ে ওর মুখে রাগি ভাবটা
ফুটে ওঠেছে।কালকেই আমাকে ফোন
করে বলে দিয়েছিল কিছু না আনতে।
তবুও আমি নিয়ে আসলাম।প্যাকেট টা
খুলেই আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে
চেয়ে আছে।আমি ভয় পেয়ে নিচের
দিকে চেয়ে আছি।কিছুক্ষন এভাবে
নিরবতার পর আমাকে বলল।
.
-তোমাকে কালকে হাজার বার মানা
করা সত্বেও তুমি এটা কি জন্য আনলে?
.
আমি কি উওর দিব ভেবে পাচ্ছিনা।
রাইসা অন্যসব মেয়েদের মত গিফট বা
অন্যকিছু পেলে খুশি হওয়া ত দূরে থাক
বরং আমার সাথে রাগ করে কথা বলে
না।কারণ ও আমার থেকে কিছু চায়না।
আমার সাথে কাটানোর জন্য একটু সময়
চায়।হোটেল বা রেষ্টুডেন্টে যেতে
চায় না।আমার সাথে একসাথে বসে দশ
টাকার বাদাম বা আইসক্রীম খেতে
চায়।আমি কিছুক্ষন নিরবতা পালন করে
বললাম।
.
-আসলে
-আমি কোন আসলে বুঝি না।তুমি এত
টাকা কোথায় পেলে।
.
আমার মাথা কাজ করছে না।আমি
রাইসাকে কীভাবে বলি যে
প্রাইভেটের টাকা দিয়ে এটা কিনে
এনেছি।কারণ এই টাকার উপর আমার
ম্যাস ভাড়া খাওয়া দাওয়া
অনেকাংশে নির্ভর করে।
.
-কি হল চুপ করে আছ কেন।প্রাইভেটের
টাকা দিয়ে এটা কিনে এনেছ তাই
না।
-হুম।
.
এটা শুনে রাইসা কিছুক্ষন আমার দিকে
তাকিয়ে তাকল।তারপর বলল।
.
-তুমি কোনদিন ঠীক হবে না।
.
এইটা বলে একটা হাসি দিল।হঠাৎ করে
হাসার কারণটা বুঝলাম না।ও আমাকে
চোখ বন্ধ করে আমার বাম হাতটা
বাড়াতে বলল।আমি কথা মত তাই
করলাম।এবার চোখ খুলতে বলল।চোখ
খুলে দেখি আমার হাতের পুরাতন
ঘড়িটা খুলে একটা নতুন ঘড়ি পড়িয়ে
দিল।সারপ্রাইজ টা পেয়ে আমি একটু
অবাক হলাম।তারপর আমাকে আবার ও
বলল।
.
-তোমার মোবাইলের ম্যাসেজ চেক কর
ত।
.
আমি ওর কথা মত মেসেজ চেক করতে
লাগলাম।এক পর্যায়ে ও আমার হাত
থেকে মোবাইল টা কেড়ে নিয়ে
একটা ম্যাসেজ দেখিয়ে আমাকে বলল।
.
-আমি জানতাম তুমি এরকমি কিছু একটা
করবে।তাই আগেই তোমার বিকাশ
নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে
দিয়েছিলাম।কিন্তু তুমি বোকা
ছেলে কোথাকার।
.
আমার এসবের কিছুই খেয়াল ছিল না।
আমার এক মাএ টেনশন ছিল।
প্রাইভেটের টাকা আমি আজ হাতে
পাব কিনা।
আসলেই আমি সত্যি বোকা।এই বোকা
ছেলেটাকে কীভাবে মেয়েটা এত
ভালবাসে।আমি ওকে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরলাম।আর বললাম এই বোকা
ছেলেটাকে কখনো ছেড়ে যাবে
নাত।ও আমার কানে ছোট করে বলল।এই
জীবন থাকতে কক্ষনো না।
মার্কেট থেকে বেরিয়ে দেখলাম
পকেটে আর মাএ দশটা টাকা অবশিষ্ট
আছে।তা দিয়ে রিক্সা ভাড়া ও হবে
না।তাই রিক্সা না নিয়ে হেটেই
যাচ্ছি পার্কে।রাইসার সাথে দেখা
করার কথা নয়টায়।এখন বাজে সাড়ে
নয়টা।যেতে যেতে প্রায় আর ও আধা
ঘন্টার মত লাগবে।মেয়েটাকে কি
এতক্ষন বসে রাখা ঠীক হবে।আর
গোলাপ ফুল টাও নেওয়া হল না।
আজকের দিনে ও কি ভালবাসার
মানুষটিকে ভালবাসার প্রতিক উপহার
দিতে না পারব না বলে নিজেকে খুব
ছোট মনে হচ্ছে।এসব ভাবছি আর হাটছি।
এরি মাঝে ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে
মোবাইল টা বেজে উঠল।দেখলাম
রাইসার ফোন।একটু সময় নিয়ে ফোন টা
রিসিভ করলাম।
.
-হ্যালো।
-তুমি কতদূর এসেছ।
-এইত প্রায়ই এসে পড়েছি।
-আচ্ছা সাবধানে এস।
-ওকে।
.
ফোনটা আসার পর থেকে একটু জোরে
হাটছি।নয়টার সময় দেখা করার কথা
থাকলেও মেয়েটা অনেক আগে থেকে
এসে বসে আছে।
.
পার্কে এসে রাইসাকে দেখলাম
অন্যদিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে বসে
আছে।আমাকে দেখে একটা হাসি
দিল।যেন এক রাজ্যে জয়ের হাসি।
মেয়েটাকে হাসিতে অনেক সুন্দর
মানায়।আমি একদৃষ্টিতে ওর হাসির
দিকে চেয়ে আছি।আমি দেরি করে
আসাতে এতে ওর কোন আক্ষেপ নেই।
আমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে
দেখে রাইসা বলল।
.
-আর কতক্ষন দাড়িয়ে থাকবে এবার বস।
.
আমি ওর কথা শুনে একটা হাসি
দেওয়ার চেষ্টা করলাম।তারপর গিয়ে
ওর পাশে বসলাম।ও আমার মুখে আর
কপালে ঘাম দেখতে পেয়ে কিছুক্ষন
আমার দিকে তাকিয়ে থাকল।তারপর
আবার ও বলল।
.
-তুমি হেটে এসেছ তাই না।
-আরে না তুমি ত জান আজ ভীষণ গরম
পড়েছে তাই একটু ঘেমে গেলাম।
.
আমার কথা শুনা মাএ রাইসার মুখ
ফ্যাকাশে হয়ে গেল।কারণ আমি যে
মিথ্যা বলেছি রাইসা সেটা ভাল
করেই জানে।ওর ওড়না দিয়ে আমার মুখ
আর কপালের ঘাম মুছে দিতে দিতে
বলল।
.
-মিথ্যা বলতে পার না।তবুও কেন
মিথ্যা বল আমার সাথে।
.
আমি কথাটি শুনে চুপ হয়ে রয়লাম।
রাইসা কিছুটা আছ করতে পেরেছে
আমি ওর জন্য কিছু একটা এনেছি।আসার
সময় না দেখা মত করে পেছনে লুকিয়ে
এনেছিলাম যাতে ও না দেখে তবুও
কেমন করে দেখে ফেলল।আমি ভেবে
পাচ্ছিনা যে এটা কেমন করে ওর
হাতে দিব।রাইসার জন্য আজ মার্কেট
থেকে ওর পছন্দের নীল শাড়ি কিনে
এনেছি।কোনদিন মেয়েটাকে কিছুই
দিতে পারিনি।ভাবলাম আজ হয়ত কিছু
একটা দেওয়া দরকার।তাই আর দেরি না
করে প্রাইভেটের টাকা হাতে
পাওয়া মাএ তা দিয়ে শাড়িটা
কিনে আনলাম।আনা সত্বেও সাহসের
অভাবে দিতে পারছি না।কারণ এটা
দেখার পর রাইসা খুশি হওয়ার চেয়ে
রিয়েক্ট বেশি করবে।তবুও সাহস সঞ্চয়
করে এটা ওর হাতে দিয়ে বললাম।
.
-এটা তোমার জন্য।
-কি এটা।
-প্যাকেট খুলে দেখ।
.
এটা দেখে রাইসা অবাক বা খুশি
হওয়ার চেয়ে ওর মুখে রাগি ভাবটা
ফুটে ওঠেছে।কালকেই আমাকে ফোন
করে বলে দিয়েছিল কিছু না আনতে।
তবুও আমি নিয়ে আসলাম।প্যাকেট টা
খুলেই আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে
চেয়ে আছে।আমি ভয় পেয়ে নিচের
দিকে চেয়ে আছি।কিছুক্ষন এভাবে
নিরবতার পর আমাকে বলল।
.
-তোমাকে কালকে হাজার বার মানা
করা সত্বেও তুমি এটা কি জন্য আনলে?
.
আমি কি উওর দিব ভেবে পাচ্ছিনা।
রাইসা অন্যসব মেয়েদের মত গিফট বা
অন্যকিছু পেলে খুশি হওয়া ত দূরে থাক
বরং আমার সাথে রাগ করে কথা বলে
না।কারণ ও আমার থেকে কিছু চায়না।
আমার সাথে কাটানোর জন্য একটু সময়
চায়।হোটেল বা রেষ্টুডেন্টে যেতে
চায় না।আমার সাথে একসাথে বসে দশ
টাকার বাদাম বা আইসক্রীম খেতে
চায়।আমি কিছুক্ষন নিরবতা পালন করে
বললাম।
.
-আসলে
-আমি কোন আসলে বুঝি না।তুমি এত
টাকা কোথায় পেলে।
.
আমার মাথা কাজ করছে না।আমি
রাইসাকে কীভাবে বলি যে
প্রাইভেটের টাকা দিয়ে এটা কিনে
এনেছি।কারণ এই টাকার উপর আমার
ম্যাস ভাড়া খাওয়া দাওয়া
অনেকাংশে নির্ভর করে।
.
-কি হল চুপ করে আছ কেন।প্রাইভেটের
টাকা দিয়ে এটা কিনে এনেছ তাই
না।
-হুম।
.
এটা শুনে রাইসা কিছুক্ষন আমার দিকে
তাকিয়ে তাকল।তারপর বলল।
.
-তুমি কোনদিন ঠীক হবে না।
.
এইটা বলে একটা হাসি দিল।হঠাৎ করে
হাসার কারণটা বুঝলাম না।ও আমাকে
চোখ বন্ধ করে আমার বাম হাতটা
বাড়াতে বলল।আমি কথা মত তাই
করলাম।এবার চোখ খুলতে বলল।চোখ
খুলে দেখি আমার হাতের পুরাতন
ঘড়িটা খুলে একটা নতুন ঘড়ি পড়িয়ে
দিল।সারপ্রাইজ টা পেয়ে আমি একটু
অবাক হলাম।তারপর আমাকে আবার ও
বলল।
.
-তোমার মোবাইলের ম্যাসেজ চেক কর
ত।
.
আমি ওর কথা মত মেসেজ চেক করতে
লাগলাম।এক পর্যায়ে ও আমার হাত
থেকে মোবাইল টা কেড়ে নিয়ে
একটা ম্যাসেজ দেখিয়ে আমাকে বলল।
.
-আমি জানতাম তুমি এরকমি কিছু একটা
করবে।তাই আগেই তোমার বিকাশ
নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে
দিয়েছিলাম।কিন্তু তুমি বোকা
ছেলে কোথাকার।
.
আমার এসবের কিছুই খেয়াল ছিল না।
আমার এক মাএ টেনশন ছিল।
প্রাইভেটের টাকা আমি আজ হাতে
পাব কিনা।
আসলেই আমি সত্যি বোকা।এই বোকা
ছেলেটাকে কীভাবে মেয়েটা এত
ভালবাসে।আমি ওকে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরলাম।আর বললাম এই বোকা
ছেলেটাকে কখনো ছেড়ে যাবে
নাত।ও আমার কানে ছোট করে বলল।এই
জীবন থাকতে কক্ষনো না।
Comments
Post a Comment